আমরা কাবার চারিদিকে তাওয়াফ করি সেভাবে, যেভাবে আল্লাহ জাল্লা জালালুহুর
আরশের চারিদিকে কোটি কোটি ফেরেশতারা তাওয়াফ করে অনন্তকাল ধরে... ।
যেভাবে আমরা ঘুরি কাবার চারিদিকে, যেভাবে ইলেকট্রন ঘোরে পরমানুর মাঝে,
যেভাবে নক্ষত্রসমুহ একই নিয়মেই ঘোরে গালাক্সি সেন্টারকে কেন্দ্র করে,
যেভাবে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে চাঁদ, সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে
গ্রহসমুহ, আর আমাদের বন্ধনের চারিদিকে ঘুরি আমরা। আর সবার উপরে মহান প্রভুর
আরশে আজিমের চারিদিকে ঘোরে বিলিয়ন ট্রিলিয়ন ফেরেশতা বাহিনী !!! প্রকৃতির
সর্বত্রই তোমার আরশের প্রতিচ্ছবি , ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনু, পরমানু থেকে
বিশালাকার গালাক্সি, কোয়াসার... সব জায়গাতেই তুমি রেখেছ তোমার সৃষ্টির একই
ঐকতান !!! অথচ কিছু মানুষ তোমাকে না চিনে চেনে সেই তোমার সৃষ্টি প্রকৃতিকে
!!!
এমন
এক রহস্যময় সত্তা , জিনি প্রেমিকার জন্য সারারাত, অনন্তকাল জেগে থাকেন,
ঘুমিয়ে পরেন না পিচ্চি মানুষের মত ক্লান্ত হয়ে এই সুন্দর রাতে প্রেমের গল্প
শুনতে শুনতে। যিনি লক্ষ অযুত কোটী বছর ধরে তার প্রেমিকদের সাথে গল্প করেন সারারাত... স্পেস আর টাইম ফ্রেমের বাইরে... অনন্ত আবেশে। যেমন হাবিবা আদাবিয়া রা জাগে তার প্রেমে।
তিনি লক্ষ করেন তার স্নেহের বান্দা বান্দিকে দূর-সুদূর আরশে আজিম হতে, কিন্ত অনুভব করেন একান্ত আপন করে। মন দিয়ে শোনেন তার সামান্য এক ক্ষুদ্র বান্দা খুদে পিঁপড়ার অনুনয় প্রার্থনা।
যার সামনে সিজদাবনত থাকে ১,২,৩,৪,৫,৬,৭... আসমানসমুহের অজস্র অগণিত ফিরিশতা বাহিনী, যিনি নিজ অনন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন অনাদিকাল হতে, একছত্র অধিপতি, মহাপরাক্রমশালী। সমগ্র সৃষ্টিব্যাপী বিস্ময়কর মহাক্ষমতাশালী সব সৃষ্টিকে তিনি সাজিয়ে রেখেছেন তার জ্ঞানী দর্শক বান্দা বান্দিদের জন্য, যারা এই ধোঁকার ঘর পৃথিবীর দিকেই শুধু দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখে না, বরং দৃষ্টিকে প্রসারিত করে জ্ঞানের সিমানাহীন দিগন্তে। যারা এই রহস্যময় সৃষ্টি সমুহ নিয়ে চিন্তা-ফিকিরকে এত উন্নত ও গভীর স্তরে নিয়ে যায়, যেখানে সামান্য সৃষ্টি মূল্যহীন হয়ে যায় মহামহিম স্রস্টার অনন্ত রহস্যময়তা এবং মায়াবী জালালিয়াতের আভায়।
সমগ্র আসমান, জমিন, সমগ্র বিশ্বচরাচর সেই রাজাধিরাজের আজ্ঞাবহ, অথচ তিনি স্নেহের কেন্দ্রবিন্ধুতে রাখেন তার আদরের আদমকে। যদিও আদম গাফেল... জ্ঞানহীন । সামান্য ধোঁকার এক ঘরের মায়ায় সে ভুলে যায় তার অনন্তকালব্যাপী সত্ত্বাকে, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে মাথার উপরে বিস্তৃত আকাশ দেখে, অথচ ভাবে না এর মহাজ্ঞানী স্রস্টাকে নিয়ে। সে বড় চঞ্চল, যেমন মহান প্রভু বলেন, ইন্নাল ইনছানা আজুলা... নিশ্চয়ই মানুষ বড়ই তরাপ্রবন।
কাবা আমাদের আসল পুজনিয় না। পুজনিয় আল্লাহর আরশে আজিম।
আমাদের মহান প্রভুর আরশের ধ্যানে। অনেক পাগল অনেক কথা বলে হজ নিয়ে। যেহেতু তারা আসল জিনিষ জানে না। :( আল্লাহ তায়ালা বলেন যে, নিশ্চয়ই মানুষকে সামান্যই জ্ঞান দান করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment